ঢাকা মহানগরের ১০ টি জোনে ১০ টি এনজিও’র মাধ্যমে ২০১১ সনে ০১ (এক) দিনে ১০,০০০ হাজার ভিক্ষুকের উপর জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। জরিপকৃত ভিক্ষুকদের তথ্য উপাত্ত নিয়ে একটি ডাটাবেইজ তৈরি করা হয়েছে। জরিপে প্রাপ্ত ১০,০০০ জন ভিক্ষুক হতে ২০০০ জন ভিক্ষুককে নিজ নিজ জেলায় পুনর্বাসনের জন্য নির্বাচিত করা হয়। দেশব্যাপী প্রসারের পূর্বে পদ্ধতিগত কার্যকারিতা র্নিভুল করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ময়মনসিংহ ও জামালপুর জেলায় ৬৬ জন ভিক্ষুককে রিকশা, ভ্যান ও ক্ষুদ্র ব্যবসা পরিচালনার জন্য পুজিঁ প্রদানের মাধ্যমে পুনর্বাসনের নিমিত্ত পাইলট কর্মসূচি পরিচালনা করা হযেছে। বর্ণিত জেলা হতে প্রাপ্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ময়মনসিংহ জেলায় পুনর্বাসনকৃত (ঢাকায় পরিচালিত জরিপে প্রাপ্ত) ভিক্ষুকদের বেশির ভাগই রিকশা, ভ্যান বিক্রি করে পুনরায় ঢাকায় চলে এসেছে। তবে জামালপুর জেলায় পুনর্বাসনকৃত স্থানীয় ভিক্ষুকগণ রিকশা, ভ্যান ও সরবরাহকৃত পুজিঁ ব্যবহারের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছে।
কর্মসূচির পাইলটিং পর্যায়ে পুনর্বাসন কার্যক্রমের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, ঢাকা শহরের ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধে সফলতা অর্জন ব্যতীত কর্মসূচির সফলতা অর্জন সম্ভব নয়। বিষয়টি মাথায় রেখে প্রাথমিকভাবে ঢাকা শহরের বিমানবন্দর এলাকা, হোটেল সোনারগাঁও, হোটেল রূপসী বাংলা, হোটেল রেডিসন, বেইলীরোড, কূটনৈতিক জোন ও দূতাবাস এলাকাসমূহকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করার নীতিগত সিদ্ধামত্ম গৃহীত হয় এবং সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে এসব এলাকাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে ভিক্ষুকমুক্ত এলাকার আওতা আরও বৃদ্ধি করা হবে।
ভিক্ষুকমুক্ত হিসেবে ঘোষিত এলাকাসমূহে নির্দিষ্ট সময় অন্তর ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে। ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে প্রাপ্ত ভিক্ষুকদেরকে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়। প্রতিষ্ঠানে থাকাকালীন তাদেরকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ এবং পুনর্বাসন করা হয়।
০৪/০৬/২০১৬ তারিখে ২০০ জন ভিক্ষুকের অংশগ্রহনে দিনব্যাপী সমাজসেবা অধিদফতর মিলনায়তনে ভিক্ষাবুত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর ‘‘পুনর্বাসন চাহিদা নিরূপন’’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, সমাজসেবা অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের (যেমন পুলিশ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, সিটি কর্পোরেশন, এনজিও, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক) প্রতিনিধিগণ উপস্থিত থেকে তাদের মতামত প্রদান করেন। তাদের প্রাপ্ত মতামতের ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রস্ত্ততপূর্বক উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরণ করা হয়। ঢাকা শহরের ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষিত এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি না করার জন্য ২/১ দিন পরপর নিয়মিত মাইকিং করা হচ্ছে।
বর্তমান অর্থ বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক বিমানবন্দর সড়ক হতে শাহবাগ পর্যন্ত ভিআইপি রাস্তা ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষনা করার জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস